ওবায়দুল কাদের বলেন, “এবারের ঈদে সরকারি ছুটি কম থাকায় প্রায় একই সময় লাখ লাখ মানুষ নাড়ির টানে গ্রামে যাচ্ছে, পাশাপাশি পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহু মানুষ এবার গ্রামে যাওয়ার অভিযাত্রায় সামিল হয়েছে। যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে সাবধানতার সাথে গাড়ী চালানোর জন্য সকল গাড়ি চালকদের প্রতি আমি আহবান জানাই।”তিনি বলেন, “জীবনের প্রতি মায়া রেখে, জীবনের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মহাসড়কে নিয়ম মেনে যাতায়াত করতে হবে। অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।” জরুরি এবং রপ্তানি পণ্য ছাড়া ট্টাক-কাভার্ড ভ্যান নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চালাচল বন্ধ রাখারও আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “যানজট এড়াতে মহাসড়কের পাশে যে সকল কোরবানি পশুর হাট রয়েছে তার পরিসর যাতে কোন ভাবেই বেড়ে না যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা নজরদারি করবেন।” ঈদযাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এবারের ঈদ যাত্রায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ, সামান্য উদাসীনতা এবং স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই সবাই পরিবহনে, ঈদের ছুটিতে ও ফিরতি যাত্রায় মাস্ক পরিধান এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন।” তিনি বলেন, “সামান্য অবহেলা পুরো পরিবারের অপরিমেও ক্ষতির কারণ হতে পারে, তাই সকলকে মাস্ক পরিধানসহ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।” ওবায়দুল কাদের বলেন, “কোরবানির পশুবাহী গাড়ি ধীরে চলায় এবং পথিমধ্যে নষ্ট হওয়ায় কোথাও স্বল্প সময়ের জন্য যানজট ধীরগতি হচ্ছে, এ জন্য তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গাড়ির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।”সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন, পরিবহন, মালিক-শ্রমিকসহ সকলকে নিজ নিজ প্রয়াস জোরদারের মাধ্যম ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করারও আহবান জানান।