ঈদ উপলক্ষে প্রায় এক কোটি মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। যার ফলে বন্ধ আছে বায়ু দূষণের সবগুলো উৎস। ঈদের দিনে সকালে বৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান যাচাই বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘আইকিউ এয়ার’ বলছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঢাকায় বায়ুর মান সূচক ছিল ২১। ওই সময়ে বায়ুতে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ‘পিএম ২.৫’ প্রতি ঘনমিটারে ছিল ৫ মাইক্রোগ্রাম। বিশেষজ্ঞদের মতে যা ‘ভালো’। কীভাবে ঢাকার বায়ু দূষণ হঠাৎ কমে গেল— এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। শহর থেকে যদি ৭৫ লাখ বা এক কোটি মানুষ চলে যায়, তাহলে গাড়ি চলাচল এমনিতেই কমে যাবে। তিনি বলেন, বায়ুদূষণে গাড়ির যে কন্ট্রিবিউশন সেটি কমে ৫ থেকে ৭ ভাগে নেমে এসেছে। ইটভাটা থেকে বায়ু দূষণের যে কন্ট্রিবিউশন সেটিও কমে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে কনস্ট্রাকশন কাজও। এছাড়া প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য ১০ মাইক্রোগ্রাম বায়ু দূষণ হয় বলে ইন্টারন্যাশনাল থিম রুল আছে। যে ৭০/৭৫ লাখ মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন, তাদের কারণে বায়ু দূষণ কমেছে প্রায় ৭০/৭৫ মাইক্রোগ্রাম। সার্বিকভাবে বায়ু দূষণের যে উৎসগুলো আছে, তার সবকিছুই এখন কমে এসেছে। যার ফলে ঢাকার মানুষ এখন নির্মল বায়ু সেবন করছেন বলে জানান আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।