অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, উত্তর সিটির বনানী কবরস্থানে কবরের ওপর কবর দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং অন্য কবরস্থানে কবরের ওপর কবর দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বনানী কবরস্থান ছাড়াও ডিএনসিসির আওতায় রয়েছে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থান, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থান এবং উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থান। এসব কবরস্থান দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ডিএনসিসির সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ। সোমবার সে বিভাগ থেকে পুনঃকবর দেওয়ার ফি নির্ধারণ করে নোটিস জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের চতুর্দশ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কবরস্থানের উপর পুনরায় কবর করার ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই হারে ফি আদায়ের জন্য আঞ্চলিক কার্যালয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, নগরবাসীকে কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উত্তর সিটির সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মুজাহিদ আল সাফিত বলেন, আগে সবগুলো কবরস্থানে পুনঃকবর ফি ছিল ২০ হাজার ৫০০ টাকা। ডিএনসিসির প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান বলেন, সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে ১৫ বছর এবং ২৫ বছর মেয়াদে কবর সংরক্ষণ করা যায়। যে ব্যক্তির কবর সংরক্ষণ করা হয়েছে, তার কোনো নিকটাত্মীয় মারা গেলে তাকেও সেখানে কবর দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এই ফি কার্যকর হবে। তবে প্রথম ব্যক্তিকে কবর দেওয়ার তিন বছর সেখানে পুনরায় কবর দেওয়া যাবে।তবে সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে সাধারণ কবরের জন্য ৫০০ টাকা ফি দিতে হয়। এই কবর সংরক্ষিত থাকে দুই বছর। দুই বছর পর সেখানে নতুন করে কাউকে কবর দেওয়া হয়।