বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই এখন উর্ধ্বমুখি। বিভিন্ন সময় সরকারি সংস্থাগুলোর অভিযানেও নিয়ন্ত্রনে আসছে না নিত্যপণ্যের বাজার। বিশেষ করে গরীবের খাবার সবজির দাম নাগলে আসছে না। সবজি বিক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারী বাজারে বাড়তি দামে কিনতে হয়। এছাড়া রোড খরচ মিলিয়ে সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে যায়। আর ক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়ছে, কিন্তু আয় বাড়ছে না। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রায় সকল পণ্যের দামই চড়া। বিক্রেতারা হাঁকডাক ছাড়ছেন পণ্য ক্রেতাদের উদ্যেশে। বিক্রেতার হাঁকডাকে ক্রেতা এগিয়ে আসলেও বিপত্তি বাঁধছে দরদামে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ধুন্দল কেজি ৪০টাকা, উচ্ছে ৫০, করোলা ৪০, ঝিংগা ৪০ টাকা, ভেন্ডী ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিংগা ৩০ টাকা, পেপে ৪০টাকা, ফুলকপি ছোট ৪০ টাকা পিচ, দেশি শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০, কাঁচা মরিচ ১২০, চালকুমড়া পিচ ৪০, মুখীকচু ৮০ টাকা, লেবু হালি ৩০ থেকে ৪০, গাজর দেশি ১০০ চায়না ১৬০ টাকা, সব ধরনের বেগুন কেজি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা। সবজি বিক্রেতা সজল মিয়া বলেন, এখন বর্ষাকাল সব ধরনের সবজির সিজন না। সিজিনাল সবজির দাম কম। কিন্তু এখন যে সবজি সিজিনাল না সেগুলোর দাম বেশি। এখন যেমন পটলের সিজন পটলের দাম কম। তাছাড়া সবজি আমাদের আনতে হচ্ছে বেশি দামে। এরপর আছে অনেক ধরনের খরচ। রোড খরচ, গাড়ি ভাড়া, তারপরে আবার কিছু সবজি নষ্টও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এত খরচ শেষে কেনা দাম পরে যায় অনেক টাকা। এরপর আবার আমাদের লাভ করতে হয়। ক্রেতা হাফিজ শিকদার বলেন, বাজারে দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়ছে। কোন কিছুর দাম কমছেই না। এভাবে চলতে থাকলে এভাবে খুব বেশি দিন খাওয়া লাগবে না। কিছু দিন পরে না খেয়ে থাকতে হবে। সবকিছুর দাম বাড়ছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়ছে না। বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া বাজার থেকে সবজি নিয়ে আসতে হয় প্রতিদিন। আজ বৃষ্টির লাইগা কেরানীগঞ্জের বাজারে মাল উঠাইতে পারে নাই। মাল কম থাকায় প্রতি মণে দাম বেড়ে গেছে ১০০ টাকা। কিন্তু কি করবো মাল আনতে গেছি মালতো আনাই লাগবো। ওখান থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে আনছি। এরপর গাড়ি ভাড়া তারপর খাজনা। মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ টাকা। মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগি প্রতি কেজি ১৫০টাকা, সোনালি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি এবং দেশি মুরগি ১ কেজির উপরে প্রতি পিচ ৫২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কই মাছের কেজি ২২০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮২০ টাকা, দেশি চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি, রুই মাছ কেজি আকার ভেদে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, শৈল মাছ ৭০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, সিলং মাছ কেজি ৬০০টাকা, নদীর লিটা মাছ কেজি ৮০০ টাকা, বাইন মাছ ৬৫০, আইর মাছ ৬৫০, , বোয়াল ৫০০, পাঙ্গাস ১৬০, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা কেজি। এছাড়া মায়া মাছ কেজি ৩০০, টেংরা ৫৫০ টাকা, নদীর টাটকেনি কেজি ৩৫০ টাকা, ঈলিশ মাছ কেজি আকার ভেদে ৭০০ টাকা থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ডিমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৬০ টাকা।