যাদের নামে ৩০টির অধিক মোবাইল সিম রয়েছে। যাচাই করে সেসব সিম আগামী নভেম্বরের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে।এতে বন্ধ হতে যাচ্ছে প্রায় ৩০ লাখ মোবাইল সিম। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নেয়া যায়। নভেম্বরে বন্ধ হচ্ছে ৩০ লাখ মোবাইল সিম যারা নিজের নামে ৩০টিরও বেশি মোবাইল সিম নিবন্ধন করেছেন এমন সাত লাখ গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে মোবাইল অপারেটররা। যেসব সিম গ্রাহক বন্ধ করবে তার তালিকা কাস্টমার কেয়ারে দিতে বলা হয়েছে। গত ২০১৬ সালের জুনে একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ ২০টি সিম কার্ড ব্যবহারের অনুমতি দেয় বিটিআরসি। এক বছর পরই তা সংশোধন করে এ সংখ্যা ১৫টিতে নির্ধারণ করা হয়। তবে এ নিয়ম শতভাগ প্রয়োগ করতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সম্প্রতি দেশের ১৮ কোটি ৪০ লাখ মোবাইল সংযোগ ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে বিটিআরসি। এতে দেখা গেছে, সাত লাখ ২৩ হাজার গ্রাহক নির্ধারিত সংখ্যার চেয়েও অতিরিক্ত প্রায় ৩০ লাখ মোবাইল সিম নিয়েছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৫৭ গ্রাহকের কাছেই রয়েছে অতিরিক্ত ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯৩টি সিম! শনাক্ত শেষে এবার এসব সিম বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার দেয়া তালিকা ধরে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে মোবাইল অপারেটররা। চলতি মাসের (১৫ অক্টোবর) পর্যন্ত গ্রাহকরা কোন সিম বন্ধ বা চালু রাখবেন তা বাছাই করার সুযোগ পাবেন। বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সময় দিয়েছিল বিটিআরসি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য; সে অনুসারে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমরা কিন্তু তৎপর, যাতে যেই গ্রাহকই থাকুন না কেন তারা যেন কোয়ালিটি সাবস্ক্রাইবার থাকেন।’ গ্রাহক কাস্টমার কেয়ারে গেলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করবেন সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটররা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সাড়া না দিলে নিজ উদ্যোগে সিম বন্ধ করবে বিটিআরসি। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘শেষ কোন মোবাইল সিম ব্যবহার হয়েছে সেটা পর্যবেক্ষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’ তবে যাদের সিম কেনার করপোরেট অনুমতি আছে তারা এ নিষ্ক্রিয়করণের আওতার বাইরে থাকবেন বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।