মো: রওশন আলী (সাভার)প্রতিনিধি:
ধামরাইয়ে অভিযান চালিয়ে দুটি রাইস মিল ও দুই জন চাল ব্যবসায়ীকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খাদ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার (০৭ জুন) দুপুরে ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধিতে নড়েচড়ে বসেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
দেশে ধানের উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলেও বহির্বিশ্বের অস্থিরতার কথা বলে চালের দাম বাড়িয়েছে বড় একটা সিন্ডিকেট। বাজার সমীক্ষায় দেখা গেছে, অধিকাংশ মিল মালিক বাজার থেকে ধান কিনলেও উৎপাদনে যাচ্ছেন না।
প্রতিবছর বোরো মৌসুমের ধান বাজারে আসার পর চালের দাম কমতে শুরু করলেও এবার ঘটছে ঠিক তার উলটো। নতুন ধান বাজারে আসার পর থেকে চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে বলে খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে। আর মিল মালিকরা বলছেন, বাজারে নতুন ধান এলেও দাম চড়া। গত বছরের তুলনায় প্রতিমণ ধানে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হচ্ছে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অত্যাবশকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ লঙ্ঘনের দায়ে ২টি রাইস মিল এবং ২ জন চাল ব্যবসায়ীকে মোট এক লক্ষ আশি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
লাইসেন্স বিহীন এবং অবৈধ চাল মজুমদারদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা আরো বলছেন, এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জরিমানা নয়। প্রথমত দেখা হচ্ছে শস্যদানা লাইসেন্স ঠিক আছে কি না,
কেউ নিয়মের বাইরে ধান-চাল মজুত করছে কি না— এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধান-চালের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়; যেখান থেকে দেশের কোথাও অবৈধ মজুত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যদি কেউ এভাবে (নিয়ম-নীতি ভেঙে) আনঅথরাইজড চালের ব্যবসা করে বা মজুত করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।