ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) একদল বিজ্ঞানী একটি পাঙ্গাশের জাত নিয়ে গবেষণা করছেন। ইতোমধ্যে গবেষণায় সাফল্য মিলেছে। গবেষণা পুকুরে ১৫০ কেজিরও অধিক পাঙ্গাশ পাওয়া গেছে। গবেষকরা জানিয়েছে, এরকম আরও অন্তত ৫০ টি পাঙ্গাশ রয়েছে। সবগুলোর ওজনই ১৫০ কেজির অধিক। এগুলো সর্বোচ্চ ৩০০ কেজি পর্যন্ত বড় হবে। পাশাপাশি পোনা উৎপাদন করতে দ্রুত গতিতে গবেষণা চলছে। ব্যাপক পরিসরে পোনা উৎপাদন করে চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে এই মাছ চাষে লাভবান হবে চাষীরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় আকৃতির মাছটি বাজারে সহজলভ্য হবে। এতে কম দামে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
মাছটির গবেষক সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। এছাড়া সহযোগী গবেষক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিজভী কাইসার ও উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ড. খলিলুর রহমান। ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, মাছটির নাম জায়েন পাঙ্গাশ। এটি মেকং নদীর মাছ। ২০১২ সালে থেকে মাছটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এরপর থেকে পুরোদমে গবেষণা চলে। গবেষণার ধারাবাহিকতায় দেখা যায়, মাছটির দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে৷ এটি সর্বোচ্চ ৩০০ কেজি পর্যন্ত হবে। গবেষক দলের প্রধান সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে মাছটি চাষাবাদের আওতায় আনাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের দেশে এটিকে এত বড় আকৃতির করা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। তবে গবেষণায় দেখা যায় মাছটিকে সর্বোচ্চ ৩শ’ কেজি পর্যন্ত বড় করা সম্ভব। গবেষণা পুকুরে এটির রেনু পোনা উৎপাদনের জন্য চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি গবেষণা পুকুরে জাল ফেলতেই ধরা পড়েছে বিশালাকৃতির এক জায়েন পাঙ্গাশ। যার ওজন ১৫০ কেজিও বেশি। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় পাঙাশ। এর আগে কোথাও পাওয়া যায়নি এত বড় পাঙাশ। তিনি বলেন, প্রজননের মাধ্যমে মাছটিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টায় ইনস্টিউটের বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এরপর প্রচুর রেনু পোনা উৎপাদন করে চাষীদের দেয়া হবে। এতে ধীরে ধীরে সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে মাছটি।