দেশের প্রথম শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ৪০ বছরে পদার্পণ করেছে। ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ব্যাংকটি। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আমানত ও বিনিয়োগ নিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ৪০ বছরে পদার্পণ করেছে। দেশের এক তৃতীয়াংশ বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণকারী এ ব্যাংক বিগত ৩৯ বছরে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এবং এসএমই বিনিয়োগে সর্বোচ্চ অর্থায়ন করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ব্যাংকিং সেবাসহ ছয় হাজারের বেশি ইউনিট নিয়ে সারাদেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এ ব্যাংক। বর্ষপূর্তির আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ওমর ফারুক খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোঃ নাইয়ার আজম। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, জোন প্রধান, শাখা প্রধান, উপশাখা ইনচার্জ, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীরা ভার্চুয়্যাল প্লাটফর্মে যুক্ত হন। ব্যাংকের এমডি মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ইসলামী ব্যাংক জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম শক্তি। ১ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহকের এ ব্যাংক প্রায় ৮৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। দেশের তৈরি পোশাক খাতের ৩৬ শতাংশ ও টেক্সটাইল খাতের ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে গড়ে উঠেছে । তিনি বলেন, ৬ হাজারের বেশি শিল্প-কারখানা, ২ হাজারের বেশি কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ২৬ টি পাটকল, ৪২১ টি নৌ-পরিবহন, ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন, অর্ধশতাধিক কোল্ড স্টোরেজ, প্রায় ১ হাজার অটো রাইস মিল ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
“বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা যা দেশের ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ। জাতীয় অর্থনীতির প্রধান দুই স্তম্ভ প্রবাসী রেমিট্যান্স ও তৈরী পোশাক শিল্প উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক পথিকৃৎ। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং খাতের সর্বোচ্চ। মনিরুল বলেন, এই ব্যাংক শ্রেণি-পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সব মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ১১.৪% ও ৮%। বিশ্বে ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্সের পথিকৃৎ ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প দেশের ১৩ লাখ প্রান্তিক পরিবারকে স্বাবলম্বী করেছে।
এ প্রকল্প দেশের ২৬ হাজার গ্রামে বিস্তৃত যার মাধ্যমে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।