আগামী ৭ অক্টোবর বাবর আজমদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক এই টুর্নামেন্ট শুরু করবে সাকিবের দল।মাঝ অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আসন্ন এই ত্রিদেশীয় সিরিজকেই টাইগারদের প্রস্তুতির সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসাবে দেখা হচ্ছে। পরে নিউজিল্যান্ড থেকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাবে টাইগাররা। এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানা থেকে নিউজিল্যান্ডে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়সের্র হয়ে খেলা বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডে অবশ্য দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোনও পরিচালক ও নির্বাচক থাকছেন না। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ায় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এবং প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।এদিকে, ডাবল লিগ ভিত্তিতে হওয়ায় নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অন্তত চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ দল। দারুণ ফর্মে থাকা নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে ম্যাচ জয় কঠিন হলেও ফাইনাল খেলার আশা করছে টাইগাররা। ফাইনালে খেলার সুযোগ পেলে বিশ্বকাপ শুরুর আগে সব মিলিয়ে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারবে টাইগাররা। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। যদিও ঐ দু’ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরমেন্স আশানুরুপ ছিলো না। তবে জয়ের ধারায় ফিরতে পেরে খুশি টিম ম্যানেজমেন্ট। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের আগে খেলা নয় ম্যাচের মধ্যে মাত্র দু’টিতে জিতেছিলো বাংলাদেশ দল। আগামী ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর ৯ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ফিরতি লেগে বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ১২ ও ১৩ অক্টোবর। ত্রিদেশীয় সিরিজের সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ক্রাইস্টচার্চে। ১৪ অক্টোবর হবে ফাইনাল। এরপর অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে বিশ্বকাপের আগে ১৭ ও ১৯ অক্টোবর যথাক্রমে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। দু’টি অনুশীলন ম্যাচই হবে ব্রিসবেনের অ্যালান বোর্ডার মাঠে। এরপর ২৪ অক্টোবর হোবার্টে গ্রুপ ‘এ’র রানার্স-আপ দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ২৭ অক্টোবর সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এরপর ৩০ অক্টোবর ব্রিসবেনের গাব্বাতে গ্রুপ ‘বি’ চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পরে ২ নভেম্বর শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে এবং ৬ নভেম্বর পাকিস্তানে বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দু’টি ম্যাচই হবে অ্যাডিলেডে।
বাংলাদেশের স্কোয়াড:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসাইন, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসাইন, নুরুল হাসান সোহান (সহ-অধিনায়ক), নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, ইয়াসির আলি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, এবাদত হোসাইন, নাজমুল হোসাইন শান্ত ও হাসান মাহমুদ।