তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি, কাজেই বাংলাদেশকে শ্রীলংকা-পাকিস্তান বা অন্য কোনো ব্যর্থ রাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনার সুযোগ নেই। ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল সংলগ্ন অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ তরুণ-তরুণীরা ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার আয় করবে। নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের তরুণরা জব ক্রিয়েটর হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে। ডলার আয়ের জন্য এখন আর বিদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রয়োজন নাই। এটাই শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাই-টেক পার্ক ময়মনসিংহবাসীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য উপহার। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত এ হাই-টেক পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। দুই বছরের মধ্যে এখানে কার্যক্রম শুরু করবো। এখান থেকে এক হাজার তরুণ তরুণী প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণরা চাকরি করবে না চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে। দেশের তরুণদের উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইল্ড শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অব ফিউচার, ডিজিটাল অ্যাডুটেইনমেন্ট সেন্টারসহ দেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামীতে আমাদের মেধাবী তরুণরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি রোবটিক্স, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করবে। সরকার সে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে নিরলস কাজ করছে। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহকে বোমা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত করেছিল বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী জোট সরকার, সে ময়মনসিংহকে শিক্ষা নগরী থেকে প্রযুক্তির নগরী তৈরি করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্ক উপহার দিয়েছেন। আজ থেকে ১৩ বছর আগে প্রযুক্তির কোনো কনসেপ্ট আমাদের তরুণদের সামনে ছিল না। ডিজিটাল কর্মসংস্থানের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে দেশে তা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইল্ড। এসময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মসিক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, সংসদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য বেগম মনিরা সুলতানা ও ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।