রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। কোরবানির এই ঈদের আনন্দ প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। বাকিরা ঢাকাতেই রয়ে গেছেন ঈদ উদযাপনের জন্য। ফলে কোটি কোটি মানুষের বসবাসের শহর রাজধানী ঢাকা কার্যত ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এদিন সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ লক্ষ করা গেলেও বিকেল নাগাদ তা অনেকটাই কমে এসেছে। ঈদের একদিন আগে আজও অনেককে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। সড়কপথে, রেলপথে ও নৌপথে যাত্রীর চাপ রোজার ঈদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি ছিল। রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, শাহবাগ ও ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাতেগোনা কিছু যানবাহন চলছে। তার মধ্যে কিছু গণপরিবহন, কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি। এছাড়া সিএনজির পাশাপাশি অটোরিকশাও চলছে ফাঁকা রাস্তায়। এছাড়া রাজধানীর অলিগলিতে কোরবানির পশু রাখা হয়েছে। ফাঁকা রাস্তায় শিশু-কিশোরদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। চিরচেনা ঢাকা যেন হঠাৎ করেই অচেনা রূপ ধারণ করেছে। এমন অবস্থা দেখে ঢাকার স্থানীয় অনেক বাসিন্দাকে স্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়। ফাঁকা ঢাকার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নানা তৎপরতার কথা জানিয়েছে পুলিশ র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো। এদিন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। র্যাবের টহলও চোখে পড়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম পথের আলোকে বলেন, আবাসিক এলাকায় আলাদা করে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মাজার বা পীরদের আখড়ায় ঈদের জামাত হয়। সেসব জায়গায় হামলার আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের জায়গা চিহ্নিত করেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঈদ কেন্দ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীসহ দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এরইমধ্যে ঈদের বড় বড় জামাত যেসব জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে সুইপিং করা হয়েছে।