১। এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তিও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিককালে প্রতারণামূলক ফাঁদে ফেলে উচ্চ বেতনে লোভনীয় চাকুরীর প্রলোভনে নারী পাচারে জড়িত রয়েছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি এসব ঘৃণিত মানবপাচারকারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০১ মার্চ ২০২২ তারিখ দুপুর ১৩.০৫ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর শের-ই-বাংলা নগর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মানবপাচার অপরাধ সংশ্লিষ্ট এজাহারনামীয় নিম্নোক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ
ক। মোঃ ছাদিয়ার সরদার (৪০), জেলা- নড়াইল।
৩। অপরাধের কৌশল ও বিস্তারিতঃ
ধৃত আসামীসহ এজাহারনামীয় তার সহযোগী অন্যান্য আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত চোরাই পথে পার্শ্ববর্তী দেশে যাতায়াত করে। গত ০১ বছর পূর্বে জনৈকা এক ভুক্তভোগীকে আসামীরা পার্শ্ববর্তী দেশে ভাল বেতনে বিভিন্ন কাজের প্রলোভন দেখায়। তাদের দেওয়া উক্ত প্রস্তাবে ভুক্তভোগী রাজি হলে আসামীরা তাকে ১৩/০৮/২০২১ ইং তারিখ পার্শ্ববর্তী দেশে কাজের কথা বলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে ধৃত আসামীরা ভুক্তভোগীকে একটি পতিতালয়ে পতিতাবৃত্তি করানোর উদ্দেশ্যে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিক্রয় করে দিয়ে আসামীরা চোরাই পথে পুনরায় বাংলাদেশে ফেরত আসে। ভুক্তভোগী কিছুদিন পরে সেখান থেকে যে কোনো উপায়ে বের হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং এ নারীপাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে র্যাবের জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।