আজ ১ জুলাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌরবময় ইতিহাস নিয়ে ১০২ বছরে পদার্পণ করল দেশের সর্বপ্রাচীন ও সর্বোচ্চ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯২১ সালের এ দিনে ৩টি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৩টি আবাসিক হল নিয়ে ঢাবির পথচলা শুরু হয়েছিল। শতবর্ষ পরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি আরও বেড়েছে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল এবং প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠার ত্রিশ বছরের মাথায় দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষের ভাষা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের পরে দেশের মানুষের স্বাধিকার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই। পুরো পাকিস্তানি সামরিক শক্তির ঘুম হারাম করে দিয়েছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, করোনা মহামারিসহ বৈশ্বিক নানামুখী অভিঘাত মোকাবিলা করে আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণের পথে এগিয়ে চলেছি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখা আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বাণীতে তিনি লেখেন, যুগ ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, নতুন নতুন উদ্ভাবন, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, মুক্তচিন্তার উন্মেষ ও বিকাশ, সৃজনশীলতার চর্চা এবং নতুন ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে। কারিকুলাম ও পাঠক্রমের আধুনিকায়ন এবং মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার প্রতি আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।