গাপ্পি মাছসহ বিভিন্ন উপায়ে মশা খোঁজা ও এ পতঙ্গের বংশ ধ্বংস করার কৌশলে কার্যত ব্যর্থ সংশ্লিষ্টরা। তাই এবার সাহায্য নেয়া হচ্ছে প্রযুক্তির। মশার উৎপাত থেকে নিস্তার পেতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ব্যবহার করতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক ড্রোন। ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ড্রোনের সাহায্যে কোনো বাড়ির ছাদে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে কি না, সেটি খুঁজে বের করা হবে। উৎস পাওয়া গেলে ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র। মেয়রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে টানা ১০ দিন ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান চলবে মশার উৎস খুঁজে বের করতে। এ কদিন ডিএনসিসির আওতায় থাকা প্রত্যেক বাড়িতে ড্রোনের মাধ্যমে মশা খোঁজার অভিযান চলবে। মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ড্রোন থেকে প্রাপ্ত ছবি থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যেসব বাসা-বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করা হবে। এসব তথ্য আগামী বছরে মশক নিধন কার্যক্রমে কাজে লাগবে। নগরের প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করে ছাদ বা ব্যালকনিতে মশার উৎস খুঁজে বের করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় ড্রোনের সাহায্য নেয়া হচ্ছে বলে জানান মেয়র আতিক। এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, আপনাদের সঠিক ঠিকানা দিন। আমরা আপনাদের কাউকে জরিমানা করব না। আমরা শুধু ওই বাসায় গিয়ে মশার কীটনাশক ছিটিয়ে দেব। কিন্তু তথ্য না দিলে তো সঠিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালানো যাবে না। নগরবাসীর সুবিধার্থে আমরা নোভালিউরন নামে ট্যাবলেট জলাশয় ও বাসাবাড়ির পানির মিটারে ব্যবহার করছি, যা তিন মাস পর্যন্ত পানিতে মশার জন্ম নিয়ন্ত্রণ করবে। মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তা।