ডিম প্রায় সবারই প্রিয় খাবার। এটা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। আমরা ডিম খাওয়ার পর অনেকেই ডিমের খোসা ফেলে দেই। তবে জানলে অবাক হবেন। ডিমের খোসার মধ্যে রয়েছে কিছু গুণ।
ডিমের খোসা খুবই কার্যকরী জিনিস। রূপচর্চা থেকে গৃহস্থলীর নানা কাজে ডিমের খোসা ব্যবহার করা যায়। কফির স্বাদে তেঁতো ভাব কাটাতে চাইলে, ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিতে পারেন। দুটি ডিমের খোসা ভালো করে গুঁড়িয়ে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগাবেন সপ্তাহে দুই বার। মাস খানেকের মধ্যে উজ্জ্বল ত্বক উপহার পাবেন।
আপনি যদি বাগান করে থাকেন তাহলে এই ডিমের খোসা আপনার অনেক কাজে আসবে। যদি বাগানে গাছে পোকার উপদ্রব বাড়ে তাহলে গাছের গোঁড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকা আসবে না। এছাড়া ডিমের খোসায় থাকে ক্যালসিয়াম থাকায় গাছের স্বাস্থ্যও ভালো করবে। রান্না করার সময় কড়াই পুড়ে যেতেই পারে তবে সেটা আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। বাসনের তেল ও পোড়া দাগ সহজে উঠে যাবে।
ব্যথা সাড়াতেও কাজে আসে ডিমের খোসা। ডিমের খোসা ভিনিগারে মিশিয়ে রাখুন। দিন কয়েক পর দেখবেন ভিনেগারের সঙ্গে ডিমের খোসা একেবারে মিশে গিয়েছে। কোনও জায়গায় ব্যথা হলে মিশ্রণটি সেখানে লাগিয়ে, আলতো ভাবে মালিশ করুন। ব্যথা কমে যাবে।