প্রযুক্তির জগতে মানুষ অনেক উন্নতি করেছে। প্রযুক্তির দুনিয়ায় অ্যাপল কোম্পানির (Apple Company) নাম খুবই জনপ্রিয়। মোবাইল, কম্পিউটার সংক্রান্ত প্রযুক্তির বাজারে অনেক সুনাম অর্জন করেছে এই সংস্থা। কোম্পানির নাম যত অনন্য, লোগো (Apple logo) তত বেশি আলাদা রকমের।
আধ খাওয়া আপেল। এটাই অ্যাপল কোম্পানির লোগো। কিন্তু কেন এমন লোগো (Why apple logo half eaten)। কেন একটি গোটা আপেলের ছবি দিয়ে সংস্থা তাদের লোগো তৈরি করল না ! লোগোর মাধ্যমে অনেক সংস্থার জনপ্রিয়তা আন্দাজ করা যায়। কোনও কোনও সংস্থা তো লোগোতে নিজেদের নাম ও কোম্পানির বয়সও তুলে ধরে। কিন্তু অ্যাপলের ক্ষেত্রে তা একেবারে উল্টো। লোগো অসম্পূর্ণ থাকার পরেও সেটি অন্যরকম। ১৯৭৬ সালে যখন কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এর লোগো (Apple logo evolution) এরকম ছিল না। আইজ্যাক নিউটনের লোগো তৈরি করা হয়েছিল এবং তার উপরে একটি আপেল ঝুলছিল। কিন্তু ১৯৭৭ সালে কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস নতুন লোগো ডিজাইনের দায়িত্ব দেন রব জ্যানফ নামে একজন গ্রাফিক ডিজাইনারকে। সেই ডিজাইনার প্রথমবার একটি আধ খাওয়া আপেল-এর ছবি দিয়ে সংস্থার লোগো ডিজাইন করেছিলেন। সেটি রংধনুর রঙে ছিল। কোডজেসচার নামে একটি ওয়েবসাইটের মতে, রব একটি সাক্ষাত্কারে প্রকাশ জানিয়েছিলেন, কেন তিনি লোগোতে আধ খাওয়া আপেল রেখেছিলেন!
তিনি বলেছিলেন যে আপেলটি আধ খাওয়া রাখার কারণ ছিল, যাতে লোকেরা সহজেই বুঝতে পারে যে এটি একটি আপেল, চেরি বা টমেটো নয়। তিনি আরেকটি কারণ বলেছিলেন। আসলে তিনি চেয়েছিলেন যাতে লোকজন বুঝতে পারে যে তিনি একটি আপেল থেকে কিছুটা কামড় নিচ্ছেন। কিন্তু সেই সময়ে একটি অন্য তত্ত্বও তৈরি হয়েছিল। অ্যাপলের বাইটকেও কম্পিউটারের বাইটের সাথে যুক্ত করার কারণ তুলে ধরেন অনেকে। অ্যাপলের প্রথম আপেল লোগোটি রংধনু রঙের ছিল। স্টিভ জবস চেয়েছিলেন কোম্পানিকে মানবিকতার দৃষ্টি থেকে দেখা হোক। জ্যানফ আরও বলেছিলেন, তিনি এই লোগোতে Vibgyor এর ক্রমানুসারে রং রাখেননি। পাতাটি উপরের দিকে ছিল। তাই সবুজ রঙটি উপরে রাখা হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত অ্যাপলের লোগোর রঙ একই রঙে রাখা হয়েছে। কখনও সম্পূর্ণ নীল, কখনও ধূসর। এখন অ্যাপলের লোগোর রঙ কালো।