আর্সেনালের কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা চারে থাকা নিয়েই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল চেলসি। তবে, রোববার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে লন্ডনের আরেক দল ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি। এই ম্যাচেও প্রায় পয়েন্ট হারাতে বসেছিল ব্লুজরা। তবে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে, ৯০তম মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের গোলে গুরুত্বপূর্ণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলো চেলসি। সে সঙ্গে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে নিজেদের অবস্থানও মজবুত করে নিলো তারা। ৩২ ম্যাচ খেলে চেলসির অর্জন ৬৫ পয়েন্ট। ৩৩ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে ম্যানসিটি। ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিভারপুল এবং ৬০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আর্সেনাল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বল দখলের লড়াইয়ে ডেভিড ময়েজের হ্যামার্সদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল চেলসি। কিন্তু গোলের সন্ধান আর পাচ্ছিল না তারা। এ সময় শঙ্কা দেখা দেয়, ঘরের মাঠে টানা তৃতীয় লিগ ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর। তবে প্রায় পুরো ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর, একেবারে শেষ মুহূর্তে এসেই চূড়ান্ত নাটক দেখা যায়। ওয়েস্ট হ্যাম ডিফেন্ডার ক্রেইগ ডসন চেলসির রোমেলু লুকাকুকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন। চেলসি পেনাল্টি তো পায়ই, পাশাপাশি নিশ্চিত গোল করার সুযোগে অবৈধভাবে বাঁধা দেওয়ায় লাল কার্ড দেখেন ডসন। কিন্তু এ পর্যায়ে এসে চেলসিকে চূড়ান্ত হতাশ হতে জয়। ৮৭ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি স্পট কিক নিতে আসেন জর্জিনহো। তার কিকটি বাঁচিয়ে দেন ওয়েস্ট হ্যাম গোলরক্ষক লুকাস ফ্যাবিয়ানস্কি। ম্যাচ নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছিল। তবে ৯০ মিনিটে মার্কো আলোনসোর ক্রস থেকে ম্যাচে চেলসির ২৪তম শটে অবশেষে গোল করতে সক্ষম হন পরিবর্তিত খেলোয়াড় পুলিসিচ। ৭৬ মিনিটে টিমো ওয়ার্নারের পরিবর্তে পুলিচিসকে মাঠে নামান কোচ টুখেল। ম্যাচের পর গোলদাতা পুলিসিচ বলেন, ‘(টুখেল) শুধু আমাকে বললেন যে পার্থক্যটা গড়ে দাও। সমন্বয় করো এবং সুযোগ তৈরি করো। এখন এই জয়ের পর খুবই ভালো লাগছে যে আমাদের সেরা চারে থাকা প্রায় নিশ্চিত হতে যাচ্ছে ।