এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথা জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ শ্রম আইনের ক্ষমতাবলে সাময়িক এ পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় আগামী ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই দোকানপাট, মার্কেট, বিপণি বিতান বন্ধের সময় সাময়িক পরিবর্তন করে রাত ৮টার পরিবর্তে রাত ১০টা করা হয়েছে। পচনশীল পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সারাদেশে সব ধরনের দোকানপাট রাত ৮টার পর বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয় গত সোমবার। বিদ্যুৎ-গ্যাস সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর এখন দোকান বন্ধ রাখা হলেও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ছাড় দিয়েছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জনসাধারণের সুবিধার্থে বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় আগামী ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই দোকানপাট, মার্কেট, বিপণি বিতান বন্ধের সময় সাময়িক পরিবর্তন করে রাত ৮টার পরিবর্তে রাত ১০টা করা হয়েছে। তবে ১০ জুলাইয়ের পর থেকে রাত ৮টায় দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১১৪ এর উপধারা ৩ কঠোরভাবে প্রতিপালন করা হবে বলে জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। গ্যাস, বিদ্যুতের সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে শ্রম আইন অনুযায়ী গত সোমবার থেকে সারাদেশে রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট, মার্কেট, বিপণি বিতান বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এরপর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ঈদ উপলক্ষে বিপণি বিতানগুলো রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি তোলা হয়েছিল। দোকান মালিক সমিতি বৈঠকেই সেই দাবি জানালে তা বিবেচনার কথা বলেছিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান।