অর্থাৎ, যারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর চার মাস পেরিয়ে গেছে, তারাও এখন বুস্টার ডোজ পাওয়ার যোগ্য হবেন। এতদিন দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে সারা দেশে। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকেই বুস্টার ডোজের নতুন নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেন, এই কার্যক্রমের আওতায় দুই কোটি ডোজ দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে। বাকিটা প্রথম এবং বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে।
“যারা টিকা নেবে, তাদের উদ্দেশে বলছি, এতদিন দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়া হত। কিন্তু এখন থেকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর যাদের চার মাস হয়ে গেছে, তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
“বুস্টার ডোজের জন্য আগের নিয়মেই মোবাইলে এসএমএস যাবে। কেউ যদি এসএমএস নাও পায়, তাহলে সে এলে টিকা দেওয়া হবে।”
যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, এবং যারা বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে।
পরে ১৭ জানুয়ারি সেই বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়। আর জানুয়ারির শেষে তা আরও কমিয়ে ৪০ বছর করে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি লাখ ৬২ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষ। নয় কোটি চার লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫২ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।”
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর সভায় উপস্থিত ছিলেন।