কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পৌরসভার খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে আলোচিত ডাবল মার্ডারের ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত আক্তার হোসেনের পিতা বাবু তালেব বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৭।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি মঈন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় চৌগাছা বাসষ্টান্ডে পৌর সভার টোল আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এতে নিহত আক্তার হোসেনের পিতা বাবু তালেব বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় অন্য পক্ষ থেকে পাল্টা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি। এদিকে খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক আব্বাস আলী এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী হওয়ায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। ঘটনার দিন সলেমানপুর এলাকা থেকে ইমন হোসেন ডন ও আব্বাস আলী নামে ২ যুবককে খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার বাংলা বর্ষবরণ উদযাপনে সকলে যখন ব্যস্ত। সে সময় কোটচাঁদপুরের চৌগাছা বাসস্ট্যান্ডে পৌরসভার বিভিন্ন যানবাহন থেকে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষ প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুরতর আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আখ সেন্টার এলাকার জীবন হোসেন নামে এক যুবলীগ কর্মী মারা যায়। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর নেওয়ার পথে আক্তার হোসেন নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর পৌর সভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম ও উপজেলা আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজান আলী দাবী করেন, সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউই তাদের লোক না। মেয়র বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে যাদের টোল আদায় করতে দেওয়া হয়েছে, তারাই টোল আদায় করতে আসছিল। অপর গ্রæপ তাদের উপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে কেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগ করেন।
এসময় মেয়র সেলিম বলেন, ঘটনাটি আশরাফুল ও তার লোকজন ঘটিয়েছে। অন্যদিকে শাহাজান আলী বলেন, আমি কোন গ্রæপ রাজনীতি করি না। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা কাদের লোক ছিল, কোন গ্রæপ করে তা কোটচাঁদপুর বাসী জানেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) জগনাথ চন্দ্র জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।