বাজারে এখন কাঁচা এবং পাকা দুই রকম আমই পাওয়া যাচ্ছে। অথচ প্রকৃতির নিয়মে এখনো আম পাকার সময় আসেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখন যে সব আম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তার অধিকাংশই কৃত্রিম ভাবে পাকানো। অর্থাৎ বেশি দামে বিক্রির জন্য কৃত্রিম ভাবে পাকানো হচ্ছে আম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আম পাকাতে ‘ক্যালশিয়াম কার্বাইড’ নামক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ধরনের পদার্থ মানবদেহে ক্যান্সার তৈরি করতে পারে। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন কোন আম কৃত্রিম ভাবে পাকানো? চলুন জেনে নেয়া যাক:
>> বিশেষজ্ঞরা বলছেন কৃত্রিম ভাবে পাকানো আমের গায়ে সবুজ ছোপ থাকে। বিশেষ করে যদি আমের খোসা হলুদ হয় তবে এই সবুজাভ ছোপ স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়। আবার কৃত্রিম ভাবে পাকানো আম সাধারণ আমের তুলনায় বেশি উজ্জ্বল হলুদ রঙের হয়।
>> প্রাকৃতিক ভাবে পাকা আমের শাঁস উজ্জ্বল লালচে-হলুদ রঙের হয়। তবে কৃত্রিম ভাবে পাকা আম যেহেতু বাইরে থেকে পাকা মনে হলেও ভেতর থেকে পুরোপুরি পাকে না তাই শাঁসের হলুদ রঙে উজ্জ্বল ভাব থাকে না।
>> কৃত্রিম ভাবে পাকানো আমের শাঁস তুলনামূলক ভাবে বেশি শক্ত হয়। পাশাপাশি আম খাওয়ার সময়ে মুখে হালকা জ্বালা অনুভব হতে পারে। কৃত্রিম ভাবে পাকানো আমের মিষ্টত্বও কম হয়।