মনির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় মোবাইল ফোনে এক মাদরাসা ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ওই ছাত্রীর স্বামী জাহিদ ভূঁইয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের দেওয়া অডিও রেকর্ড সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কুড়াখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জাহিদ ভূঁইয়া কুড়াখাল গ্রামের জসিম ভূঁইয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগি মাদরাসা ছাত্রী জানায়, জাহিদ ভূঁইয়ার সাথে আমার গত ৭ মাস যাবত প্রেমের সম্র্পক চলছিল। গত ২ ফেব্রুয়ারি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে জাহিদ আমাকে তার চাচাতো ভাইয়ের উপজেলার রামচন্দ্রপুরের বাড়িতে নিয়ে যায়। সে জায়গায় হাফেজ নজরুল ইসলাম নামের এক হুজুর দিয়ে আমাদের বিয়ে পরান। জাহিদের বড় দুই ভাই বিয়ের বাকি থাকায় আমাদের বিয়ে গোপন রাখার পরামর্শ দেয় জাহিদ। জাহিদের কথামতো আমি বিয়ের বিষয়টি কাউকে জানাইনি। বিয়ের পর জাহিদ আমাকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যেতো। মাস খানেক যেতে না যেতেই আমাদের বিয়ের কথা আমার পরিবারের লোকজন জেনে যায়। পরে আমাকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাহিদের সাথে যোগাযোগ করলে সে আমাদের বিয়েকে অস্বিকার করে। এক পযার্য়ে সে আমার মোবাইল নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। অন্য নাম্বার দিয়ে জাহিদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।
পরে আমি কোন উপায় না পেয়ে যার বাড়িতে আমাদের বিয়ে হয় সেই জাহিদের চাচাত ভাই অলিউল্লাহ ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করি। সে আমাকে জাহিদের সাথে যোগাযোগ না রাখার কথা বলে। জাহিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করার হুমকি ধমকি দেয়। এ বিষয়ে গত ১ এপ্রিল বাঙ্গরা বাজার থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয় হাফেজ নজরুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে জাহিদ ভূঁইয়া তাদের বিয়ের নোটারী পাবলিকের কাগজ দেখিয়েছে। তাই আমি শরিয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে পরিয়েছি। বিষয়টি অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
অভিযুক্ত জাহিদের চাচাতো ভাই অলিউল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আমি মেয়েকে কোন প্রকার হুমকি ধমকি দেইনি। তারা আমার কথাকে এডিট করে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করছে।
অভিযুক্ত জাহিদ ভূইয়া বলেন, আমি ওই মেয়েকে বিয়ে করিনি। যদি আমি বিয়ে করে থাকি তার প্রমাণ থাকলে ওই মেয়েকে দেখাতে বলেন তাহেলে আমি এ বিয়ে মেনে নিব।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে গণধর্ষণের হুমকির বিষয়টি আমার জানা নেই।