মনির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের ২৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের রোদে ২ ঘন্টা দাঁড় করিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদকে সংবর্ধণা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ মিলনায়তনে ওই সংবর্ধণা অনুষ্ঠান হয়। এ বিষয়ে সরকারী ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কলেজের অধ্যক্ষ তা পালন করেনি।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা কলেজ এসে উপস্থিত হয়েছেন দুপুর ১২টায়। এই দুই ঘন্টা কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান ফটক থেকে মূল ভবন পর্যন্ত দুই সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখেন অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী।
দীর্ঘ দুই ঘন্টায় শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে লাল গালিচা বিছানো ফুল ছিটানো এবং প্রতিষ্ঠাতার নামে নানা শ্লোগাণ দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেন কলেজ অধ্যক্ষ। বিলম্বে ১২টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে এক টানা বিকাল ৩টায় শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ। কলেজ অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, হোমনা উপজেলা চেয়ারম্যান ও কলেজের আজীবন দাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী রেহানা মজিদ।
প্রভাষক মোতাহার হোসেন ও মির্জা রুহুল আমিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ সরকার, ভীম চন্দ্র সানা, শাহ আলম জাহাঙ্গীর, জিন্নাত পারভীন, শেখ মশিউর রহমান, হোমনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশাররফ হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রধান, ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন, হোমনা পৌরসভার কমিশনার মানিক মিয়া ইমন, দুলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে গভর্নিংবডির সাবেক সদস্য সফিকুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেনসহ কলেজের শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন কলেজ মসজিদের ইমাম মাওলানা জাকির হোসেন এবং গীতা পাঠ করেন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী তিশা দেবনাথ।
শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিশেষ ব্যক্তিদের এমন সংবর্ধনা দিয়ে থাকি।’ওর
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার এ বিষয়ে প্রতিবেদককে জানান শিক্ষার্থীদেরকে দাড় করিয়ে রেখে কাউকে সংবর্ধনা দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে এক পরিপত্র আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এ ধরণের কিছু হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি দু:খজনক।