খুব কম মানুষই আছেন যারা পায়ে হেঁটে বিশ্ব ভ্রমণের সাহস করেন। কারণ এ যাত্রা খুব সহজ হয় না। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এতে সফল হয়। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত ১০ জন মানুষ পুরো পৃথিবী পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন। যাদের মধ্যে টম টারসিচ একজন। তার এ যাত্রায় সঙ্গী ছিল একটি কুকুর। কুকুরকে সঙ্গী করে দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিয়ে তারা যখন বাড়ি ফিরেন তখন টারসিচের বন্ধু এবং পরিবারের লোকজন অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা মাধ্যমে তাদেরকে স্বাগত জানায়। দীর্ঘ সাত বছর ধরে তারা পায়ে হেঁটেছে। এ সময় তারা পাড়ি দিয়েছে ৪৮ হাজার কিলো মিটার পথ (২৯ হাজার ৮২৬ মাইল)। এ বিষয়ে তিনি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বলেন, এ যাত্রা ছিল খুবই ভয়ঙ্কর। যখনই আমি এটি শুরু করি তখন অনেক মানুষ আমার সঙ্গে এসে যুক্ত হয় এবং তারা আমার সঙ্গে হাঁটতে থাকে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আমার মধ্যে একট তাড়না কাজ করেছে। শেষ পর্যন্ত এটি সমাপ্ত করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দীর্ঘ এই পথ হাঁটার পেছনে টারসিচের বান্ধবীর মর্মান্তিক মৃত্যু উৎসাহ জুগিয়েছে। ২০০৬ সালে জেট স্কাই দুর্ঘটনায় সে প্রাণ হারায়। তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। এ ঘটনার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। আমার বাঁচার ইচ্ছা হারিয়ে গিয়েছিল। তবে এক সময় সব কিছু নতুনভাবে মূল্যায়ন করতে শিখি বলেন টম টারসিচ। দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে তার অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ২৬ বছর বয়সে তিনি পায়ে হেঁটে পৃথিবী ভ্রমণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ ভ্রমণে একটি ঘুমানোর ব্যাগ, একটি ল্যাপটপ, একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা এবং খাবারের জন্য একটি প্লাস্টিকের ঝুঁড়ি বহন করেন। পৃথিবী ভ্রমণে তার সাত বছর প্রয়োজন হত না যদি না করোনা মহামারি দেখা দিত। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ সময় তিনি ভ্রমণ করতে পারেননি। এছাড়া হাঁটতে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন হাটা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এ দুটি ঘটনার কারণে তার পৃথিবী ভ্রমণে সময় বেশি লাগে।