কানাডায় অস্ত্র কেনাবেচা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র–ডো ঘোষণা দেন, এ-সংক্রান্ত আইন পাসের জন্য পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করা হবে। প্রস্তাবিত আইনের আওতায় কার্যকরভাবে বন্দুক আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রব এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ২১ জনের প্রাণহানির পর এ ঘোষণা দিল কানাডা সরকার। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্র–ডো বলেন, জাতীয়ভাবে বন্দুকের মালিকানা নিষিদ্ধ করতে আমরা একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। বন্দুক সহিংসতার শিকার অনেক ব্যক্তির পরিবার ও স্বজন ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ট্র–ডো আরও বলেন, এই আইন কার্যকর হলে কানাডার কোনো জায়গায় আর বন্দুক কেনাবেচা, স্থানান্তর কিংবা আমদানি করা সম্ভব হবে না। অন্যভাবে বললে, আমরা বন্দুকের বাজার বন্ধ করে দিচ্ছি। ২০২০ সালের এপ্রিলে কানাডার নোভাস্কশিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় ২৩ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন পর এক হাজার ৫০০ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার। কানাডা সরকারের পরিসংখ্যান সংস্থা গত সপ্তাহে জানায়, দেশটিতে ঘটা সহিংস অপরাধের প্রায় তিন শতাংশ আগ্নেয়াস্ত্র-সংশ্লিষ্ট। ২০০৯ সাল থেকে কারও দিকে বন্দুক তাক করার মাথাপিছু হার প্রায় তিনগুণ হয়েছে। একই সময়ে কাউকে হত্যা কিংবা আহত করার ইচ্ছা থেকে গুলি ছোড়ার হার পাঁচগুণ বেড়েছে কানাডায়। শহর এলাকাগুলোয় যেসব বন্দুক সহিংসতা ঘটে, তার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রে হ্যান্ডগান বা হাতে নিয়ন্ত্রিত বন্দুক ব্যবহার করা হয়। প্রস্তাবিত বিলকে আইনে পরিণত করার জন্য পার্লামেন্টে পাস করাতে হবে। এদিন ট্র–ডো স্বীকার করেন, বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাচ্ছে। জনগণ যেন নির্ভয়ে ও অবাধে সুপারমার্কেট, স্কুল ও উপাসনালয়ে যেতে পারে। বন্দুকের গুলি নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে তারা যেন পার্কে যেতে পারে, জš§দিনের অনুষ্ঠানে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন কানাডার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বন্দুক সহিংসতা একটি জটিল সমস্যা। তবে দিন শেষে অঙ্কটা খুবই সরল। আমাদের কমিউনিটিতে যত কমসংখ্যক বন্দুক থাকবে, সবাই তত বেশি নিরাপদ থাকবেন।