মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ছয় ব্যাটার শূন্য রানে আউট হওয়ার পরও লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে ৩৬৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করেছিল বাংলাদেশ। যার ফলে একসঙ্গে হয়েছিল দুইটি রেকর্ড। প্রথমত এক ইনিংসে সর্বোচ্চ শূন্য আর অন্যটি ছিল ছয়টি শূন্যের পরও দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে এর সঙ্গে আরও তিনটি শূন্য যোগ করে নতুন বিব্রতকর রেকর্ডে নাম তুলেছে স্বাগতিকরা। টেস্ট ক্রিকেটে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ শূন্যের বিশ্বরেকর্ডে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গী হলো তারা। এ তিন দলই এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯টি ডাকের নজির রয়েছে। ১৯৯০ সালে ভারতের বিপক্ষে চন্ডিগড় টেস্টে দুই ইনিংস মিলে শ্রীলঙ্কার নয় ব্যাটার আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। এর দশ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিসবেন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নয় ব্যাটার আউট হন রানের খাতা খোলার আগে। এতোদিন ধরে এ দুই দলেরই ছিল ম্যাচে সর্বোচ্চ ডাকের রেকর্ড। দীর্ঘ ২২ বছর পর এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ নাম লেখালো এই বিব্রতকর রেকর্ডে। প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসেও শূন্য রানে আউট হন তামিম-খালেদ, যোগ দেন মুমিনুল হকও। বাংলাদেশের নয় শূন্য ছাড়াও শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি কাসুন রাজিথা ও প্রবীণ জয়াবিক্রম। অর্থাৎ সবমিলিয়ে পুরো ম্যাচে শূন্যের দেখা মিলেছে ১১টি। এটিও বিশ্বরেকর্ড। এ নিয়ে ১৩টি ম্যাচে ১১ জন ব্যাটারের ডাকের দেখা মিললো। সবশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও উইন্ডিজের মধ্যকার কিংসটন টেস্টে দেখা গিয়েছিল ১১টি ডাক। সেই ম্যাচেই নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের কোনো ম্যাচে ১১ বার ব্যাটাররা শূন্য রানে আউট হলেন।