ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শিরোপা একপ্রকার নিশ্চিতই হয়ে ছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। বাকি থাকা পাঁচ ম্যাচে তাদের প্রয়োজন ছিল একটি মাত্র পয়েন্ট। শনিবার রাতে সেই ঠিক এক পয়েন্টই পেলো পিএসজি। আর সেটি এলো লিওনেল মেসির করা একমাত্র গোলে। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের গোলে ফেরার ম্যাচে লেন্সের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারকাখচিত পিএসজি। আর তাতেই গত মৌসুমে লিলের কাছে হারানো লিগ ওয়ানের শিরোপা পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি রেকর্ড দশমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ফ্রান্সের এই শীর্ষ লিগে এতোদিন ধরে দশবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এককভাবে শীর্ষে ছিল সেইন্ট এতিয়েন। এছাড়া অপেশাদার যুগে একটিসহ সমান দশটি শিরোপা রয়েছে পিএসজির চির প্রতিদ্বন্দ্বী মার্শেইরও। এখন তাদের পাশে বসলেন মেসি, নেইমার, এমবাপেরা। লিওনেল মেসির পেশাদার ক্যারিয়ারে এটি ৩৯তম শিরোপা। ক্যারিয়ারে এর আগে কখনও চার ম্যাচ হাতে রেখে লিগ শিরোপা জেতেননি তিনি। যার সুবাদে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার দানি আলভেজের সর্বোচ্চ (৪২) শিরোপার রেকর্ডের আরও কাছে পৌঁছে গেলেন মেসি। তবে শুধুমাত্র ক্লাব ক্যারিয়ারের হিসেব করলে এরই মধ্যে আলভেজের পাশে বসে গেছেন মেসি। ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ ৩৬ শিরোপা নিয়ে এককভাবে শীর্ষে ছিলেন আলভেজ। এবার সঙ্গী হিসেবে প্রাক্তন সতীর্থকে পেলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। শিরোপা নিশ্চিত করার ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে লেন্সের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েই খেলেছে পিএসজি। কিন্তু দেখা মিলছিল না গোলের। পুরো ম্যাচে সাতটি শট লক্ষ্য বরাবর রেখেও গোলের দেখা পাননি নেইমার জুনিয়র, কাইলিয়ান এমবাপেরা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ৬৮ মিনিটের মাথায় গিয়ে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকেই বাঁকানো শটে লেন্সের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ ফুটবলার। লিগে মেসির এটি চতুর্থ গোল। এই গোলে জয় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল পিএসজির। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট বাকি থাকতে বাঁধ সাধেন লেন্সের বদলি হিসেবে নামা স্ট্রাইকার কোরেন্টিন জিন। তার ৮৮ মিনিটের গোলে ড্র হয় ম্যাচ। তবে শিরোপা ঠিকই জিতে নেয় পিএসজি। লিগের ৩৪ ম্যাচ শেষে ২৪ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান চূড়ান্ত নিশ্চিত করে ফেলেছে পিএসজি। দুইয়ে থাকা মার্শেইর সংগ্রহ ৩৩ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট। তারা বাকি সব ম্যাচ জিতলেও ৭৭ পয়েন্টের বেশি পাবে না।