বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের বাজারে চাল, চিনি, পেঁয়াজ, সবজি ও মুরগির দাম আরেকদফা বেড়েছে। এছাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। প্রতিকেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এসব বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি। মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বলেন, সিজন শেষ হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বাজারে পেঁয়াজের আমদানি ও উৎপাদন কম থাকায়ও দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে চাল, চিনি, মুরগি, সবজি ও পেঁয়াজের। এছাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এছাড়া বাজারে বেড়েছে চিনির দাম। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৮৬ টাকায়। প্যাকেট চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকায়। বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, দাম বেড়েছে কক বা সোনালি মুরগির দাম। শবেবরাত ও রমজানকে সামনে রেখে দাম বেড়েছে মুরগির। প্রতিদিনই বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এসব বাজারে বেড়েছে চালের দাম। কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা কালাম সরকার বলেন, চালের সিজন শেষ হওয়ায় ধানের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বাজারে। এ কারণেই বেড়েছে চালের দাম। বৈশাখ মাস আসছে। তখন আবার কমবে চালের দাম।