করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ঈদ পালনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ছিল। গত ঈদেও বড় জামাতে নামাজ পড়া যায়নি। করা যায়নি কোলাকুলি-করমর্দন। দুই বছর পর এবার ঈদ হতে যাচ্ছে মুক্ত-আনন্দের। দীর্ঘ এক মাস সংযম ও ত্যাগের সাধনার পর ঘরে ঘরে, জনে জনে আনন্দ-খুশির বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে এই ঈদ। মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের দিনটি অশেষ তাৎপর্য ও মহিমায় অনন্য। রোজাদার যে পরিচ্ছন্নতার ও পবিত্রতার সৌকর্য দ্বারা অভিষিক্ত হন, যে আত্মশুদ্ধি, সংযম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, উদারতা, বদান্যতা, মহানুভবতা ও মানবতার গুণাবলি দ্বারা উদ্ভাসিত হন- এর গতিধারার প্রবাহ অক্ষুণ্ণ রাখার শপথ গ্রহণের দিন হিসেবে আসে ঈদুল ফিতর। দিনটি ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে শামিল করার চেতনায় উজ্জীবিত করে, কল্যাণের পথে ত্যাগ ও তিতিক্ষার মূলমন্ত্রে দীক্ষিত করে। ঈদুল ফিতরের মূল তাৎপর্য বিভেদমুক্ত জীবনের উপলব্ধি। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। বাণীতে সমাজের বিত্তবানদের দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই যাতে ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে, সেই জন্য মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে- পবিত্র ঈদুল ফিতরে এ আমার প্রত্যাশা। এদিকে, সবাইকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে যার অবস্থান থেকে ঈদুল ফিতরের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ঈদ মোবারক। ’