মো: রওশন আলী (সাভার)প্রতিনিধি:
সাভার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোলা সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সাভার নামা বাজার ও বাজার বাস স্ট্যান্ডসহ পৌরসভা এলাকার দোকানগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল। শুক্রবার (০৬ মে) দুপুরে উপজেলার বাজারগুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে,
বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেল মার্কেট থেকে উধাও। তবে খোলা সয়াবিন তেল অনেক বিক্রেতা ২১৫ থেকে ২২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। সাভার নামা বাজার মুদি পট্রির মেসার্স হেমন্ত বণিক স্টোর দিনেশ বণিক বলেন, গতকাল টেলিভিশনে দেখলাম তেলের দাম আবারো বারতি।
আমরা খোলা সয়াবিন তেল ২০০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছি। মুদি পট্রির প্রাণকৃঞ্ঝ স্টোরের বরুন ঘোষ বলেন, পাম ওয়েল ১৮৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ২০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে বাজারে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও পাইকারি দোকানগুলোতে তেলের মজুত কম বলে দাবি এই ব্যবসায়ীর।
দুপুরে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে কোন প্রকার তেল নেই। তবে পৌরসভার ভাটপাড়া এলাকায় জাহাঙ্গীরনগর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি জামে মসজিদ মার্কেটে খোলা সয়াবিন তেল ২২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া আড়াপাড়া, সবুজবাগ, ব্যাংক কলোনী, কাতলাপুরসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বিক্রেতারা ২১৫ থেকে ২২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
সাভার নামা বাজারের এক ক্রেতা বলেন, যে তেল দেখে গেছি গতকাল তা আজ বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা নয়। নিশ্চয়ই বেশি দামে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা মজুত করেছে। সাভার পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ক্রেতারা জানান, বিভিন্ন দোকানে ভিন্ন ভিন্ন দামে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে।
তবে অনেক বিক্রেতা বেশি দামের আশায় সয়াবিন তেল মজুত করে রেখেছেন। বাজারে খুচরা ও পাইকারি বিক্রিতে অনেক তফাৎ দেখে ক্রেতারা তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ অতিরিক্ত দাম নিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।