ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। সবাই চেষ্টা করে ঈদের খুশি প্রিয়জন, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। শত বাধা পেরিয়েও নাড়ীর টানে ফিরে যায় পরিবারের কাছে। তবে ব্যতিক্রম শুধু গণমাধ্যমকর্মীরা। পেশাদারিত্ব পালন করতে তারা থেকে যান নিজ কর্মস্থলে। প্রতিনিয়ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেন সঠিক সংবাদ। সহকর্মীদের সঙ্গেই চিরচেনা অফিসেই চলে নিজেদের ঈদ আনন্দ। পত্রিকা অফিস তিনদিন বন্ধ থাকলেও ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কোনো বিরতি নেই। রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে যারা কাজ করেন, তাদের ঈদের ছুটি পাওয়া খুব সৌভাগ্যের বিষয়। যদিও ছুটি পায় তাহলে অন্য ঈদে কাজ করে তার সহকর্মীকে পরিবারের সঙ্গে ঈদের সুযোগ করে দিতে হয়। প্রতিটি দিন ২৪ ঘণ্টা রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকার কার্যক্রম চলে। দেশের অধিকাংশ অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত সংবাদিকদের অর্ধেকের ছুটি আছে। বাকিদের ঈদের দিনও অফিস করতে হচ্ছে। ঈদের দিনে থাকে বিশেষ কিছু নিউজ, তৈরি করতে হয় প্রোগ্রাম। এ ছাড়া সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। ঈদের দিনে এক সংবাদকর্মী বলেন, দায়িত্বের কাছে আসলে সব কিছুই অসহায়। ঈদ উপলক্ষে বেশির ভাগ সহকর্মী আছেন ছুটিতে। সামান্য কিছু মানুষ নিয়ে চলছে অফিস। তাই এই সামান্য সংখ্যার সহকর্মীরাই চালিয়ে নিচ্ছে অফিস। এই আমার কথাই ধরেন, আমি সকালে নামাজ পড়েই অফিসে চলে আসছি, একটু সেমাই সেটাও খেয়েছি অফিসে এসে। তবে মন্দ লাগছে না কারণ এটাও তো আমার একটা পরিবার। পরিবার-স্বজন ছাড়া নিজ নিজ অফিসে, হোক সে ছোট পরিসর, ঈদ উদযাপন করছেন সংবাদকর্মীরা। সংবাদমাধ্যম সংবাদিকদের কাছে খুব আপন জায়গা, পরিবারের মতো। ঈদে একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেন। অন্য এক সংবাদকর্মী বলেন, করোনার ধকল কাটিয়ে দুই বছর পর এবার ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়েছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না তবুও আমার অন্য এক পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছি। দায়িত্বপালনের পাশাপাশি সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ও ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।