মনির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রকাশ্য দিবালোকে পিস্তল ঠেকিয়ে নুসরাত জাহান জান্নাত (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরের মাস্টার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
আর এ ঘটনায় ৪জনের নাম উল্ল্যেখ সহ আরো অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামী করে সোমবার রাতে
নুসরাত জাহান জান্নাতের মা বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামীরা হলো- মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মৃত. মতিউর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান সানি (২১), মুরাদনগর সদরের রাফ্ফি ও উত্তর পাড়ার মো: কামরুল এবং হাবিবুর রহমানের সানির বড় ভাই আজিজুর রহমান রনি। অপহৃত কলেজছাত্রী নুসরাত জাহান জান্নাত (১৭) ওই এলাকার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং উপজেলা সদরের কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
ভিকটিমের পরিবার এবং অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত মতিউর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান সানি নুসরাত জাহান জান্নাতকে উত্যেক্ত সহ কলেজে আসা যাওয়ার সময় বিরক্ত করে করে আসছিল। এবং তাছাড়া বিভিন্ন সময় নুসরাত জাহান জান্নাতকে টিটকারি ও অশ্লীল ভাষায় ডাকাডাকি করতো। সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরের মাস্টার পাড়া এলাকার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে হাবিবুর রহমান সানির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র, রাম দা, পিস্তল সহ আসামীরা অপহরনে নেতৃত্ব দেয়।
এসময় সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র দেখে আশপাশের লোকজন আতঙ্কে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে। পরে কলেজছাত্রী নুসরাত জাহান জান্নাতকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তার মা বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরণকারীরা ভিকটিমের মাকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করেন। এ সময় ওই কলেজছাত্রীকে পিস্তল ঠেকিয়ে সন্ত্রাসীরা একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত ছাত্রীর মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অপহৃত কলেজছাত্রীর মা সুলতানা বেগম বলেন, আমি বাড়ির ময়লা ফেলার জন্য গেট খুললে কোনকিছু বুঝার আগেই মহূূর্তের মধ্যেই হাবিবুর রহমান সানি সহ দুজন আমার বাসায় প্রবেশ করে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে মারধর করে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এসময় আমি চিৎকার করে বাড়ি থেকে বের হলে হাবিবুর রহমান সানি বলে যায় আজিজুর রহমান রনির নির্দেশে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।
আমি ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি এবং দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি। এবিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাশিম বলেন, সোমবার রাতে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাছাড়া ওই ছাত্রীকে উদ্ধারপূর্বক আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।