দেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ক্রমেই উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শত বাধার মুখেও ‘পদ্মা সেতু’ হয়ে গেছে। দেশের উন্নয়ন বিএনপি দেখতে পান না। উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে হানিফ এ কথা বলেন।দলকে শক্তিশালী করতে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ে হানিফ বলেন, বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ জন্য দলকে শক্তিশালী করতে সব ভেদাভেদ ভুলে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান একটি সংগঠন। বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পার করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পাশে থেকেছে। বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেও আওয়ামী লীগকে দমানো যায়নি, যাবেও না। দীর্ঘ ৭ বছর পর উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ায় হতাশ হয়ে তিনি আরও বলেন, উখিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। দলকে এগিয়ে নিতে উখিয়া উপজেলা বরাবরেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। ভবিষ্যতেও রাখবে। তবে, বিগত ২০ বছরে এত কম, ছোট্ট পরিসরে ও স্বল্প সংখ্যক উপস্থিতি নিয়ে উখিয়া আওয়ামী লীগের মতো সম্মেলন আর দেখিনি। মনে রাখতে হবে-আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাকে অধিকতর গণতান্ত্রিক ও আধুনিক করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। সম্মেলনে অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইফ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার জেলা সাংগঠনিক টিমের প্রধান শাহ আলম চৌধুরী রাজা, সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ ডায়েরি রণজিত দাশ, ইউনুস বাঙালী, অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, মাহবুব আলম মাহবু, মুজিবুল হক আজাদ প্রমুখ। সম্মেলন শেষে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা।