বৈদেশিক রেমিটেন্স সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এবং ট্রাস্ট আজিয়াটা পে (ট্যাপ)-এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ট্যাপ (tap) ইতিমধ্যেই ব্র্যাক ব্যাংক-এর সাথে একটি ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেছে এবং শীঘ্রই ব্যাংকের সাথে ডিজিটাল অটোমেশন চালু করবে, যা সম্পূর্ণ হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। বাস্তবায়িত হলে, বিশ্বের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ব্র্যাক ব্যাংক-এ আগত রেমিটেন্সের অর্থ ট্যাপ-এর (tap) গ্রাহকদের প্রদান করতে পারবে। ব্র্যাক ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে ও সরাসরি রেমিটেন্স গ্রাহকদের ট্যাপ (tap) ওয়ালেটে অর্থ পাঠিয়ে দেবে। ব্র্যাক ব্যাংক এবং ট্যাপ (tap) -এর মধ্যে একই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার অধীনে সমস্ত কেওয়াইসি, কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স (সিডিডি), এনহ্যান্সড ডিউ ডিলিজেন্স (ইডিডি) এবং প্রতিটি রেমিটেন্স লেনদেনের জন্য এএমএল-সিএফটি ভিত্তিক স্ক্রিনিং বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটালভাবে করা হবে। এ চুক্তি সম্পর্কে, ব্র্যাক ব্যাংক-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন: “মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহারকারীদের ওয়ালেটে সরাসরি এবং তাৎক্ষণিকভাবে রেমিটেন্সের অর্থ নিয়ে আসার লক্ষ্যে ট্যাপ (tap)-এর পার্টনার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই সেবা রেমিটেন্স গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সুবিধা দেবে এবং বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। আমাদের গ্লোবাল পার্টনারশিপের মাধ্যমে প্রবাসীগণ বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকেই অর্থ পাঠাতে পারবেন। এই নিরবচ্ছিন্ন রেমিট্যান্স পেমেন্ট সিস্টেম স্পষ্ট করে যে, একটি নগদবিহীন (ক্যাশলেস) সমাজ গঠনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ট্যাপ (tap)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দেওয়ান নাজমুল হাসান বলেন: “ব্র্যাক ব্যাংক-এর সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ট্রাস্ট আজিয়াটা পে (ট্যাপ) মালয়েশিয়ান কোম্পানি – আজিয়াটা-এর সহ-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। মালয়েশিয়া হল প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম প্রধান কর্মস্থল। তাই, আমরা বিশ্বাস করি যে, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উল্লেখযোগ্য ভ্যালু যোগ করতে পারব এবং সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে সেবাটি পৌঁছে দিতে পারব। জাতীয় উন্নয়নে এটি হবে ট্যাপ (tap) থেকে আরেকটি পদক্ষেপ।”