করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বিদেশিদের জন্য হজ বন্ধ থাকলেও এবছর ১০ লাখ হাজীদের জন্য হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। ৬৫ বছরের কম বয়সী এবং সৌদির অনুমোদিত কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণকারিরা এবছর হজ করতে পারবেন।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের হজে দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরের দেশের হাজীদের হজের অনুমোদন দিয়েছে। পবিত্র মক্কা ও মদিনা বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক মুসলমান নিরাপদে এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশে যেন পরিদর্শন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আগ্রহী বলেও জানায় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। হজযাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি মসজিদে নববীর দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক সৌদি সরকার। এবারের হজে নির্দিষ্ট দেশ থেকে কোটার মাধ্যমে বরাদ্দ অনুযায়ী হজযাত্রীরা হজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে সৌদি সরকারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় সুপারিশ মেনে হজে অংশগ্রহণ করতে হবে।
হজ পালনে ইচ্ছুক অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি মুসুল্লিদের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেগুলো হলো:
* সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেছেন এমন ব্যক্তিদের হজে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে তাদের বয়স ৬৫ বছরের কম হতে হবে।
* হজ পালনে ইচ্ছুক সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিতে হবে।
* সেই টিকা হবে ফাইজার, মর্ডানা, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের। এসব টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করা ছাড়া সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে না।
* সৌদি আরবের বাহিরের দেশ থেকে আগত হাজীদের সৌদি আরবে প্রবেশের ৭২ ঘন্টা আগে কোভিড-১৯ নেগেটিভ পরীক্ষা ফলাফল জমা দিতে হবে।
এছাড়াও হাজীদের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কতামূলক নির্দেশনা অনুসরণ করে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হবে বলেও জানিয়েছে সৌদি মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে হজ এবং ওমরাহ পালনের জন্য প্রতি বছর সারাবিশ্ব থেকে লাখ লাখ মুসল্লি সৌদি আরব ভ্রমণ করতেন। অন্যান্য বছরগুলোয় সারাবিশ্ব থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করতে করতেন। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও বাহিরের দেশের হাজীদের হজের অনুমতি ছিল না। সেই সময় সৌদি সরকার অল্প সংখ্যক হাজীদের নিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে।