এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রতিটি মসজিদে নামাজের সময় বাদে অন্য সময় এসি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অনুরোধ জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রয়োজনের বেশি এসি না চালানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।”সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, “শুধু মসজিদ নয়, সকল উপাসনালয়ের কথা বলা হয়েছে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা সব উপাসনালয়ে তারা যাতে সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন সেই আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা জানি, প্রচুর পরিমাণে এসি লাগানো হয়েছে। নামাজের সময় খুব মৃতব্যয়ী হয়ে যদি এ গরমের সময়ে এসি চালান এবং নামাজ শেষে এসিটা বন্ধ করতে হবে। আমার সাজেশন এটাই, আমরা এভাবেই চিন্তাভাবনা করছি।” মসজিদসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে এসির ব্যবহার কমানো, যত্রতত্র সরকারি অফিসগুলোতে এসি না চালানো, সরকারি গাড়িতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমানো ও অনলাইনে মিটিং করার সিদ্ধান্তের দিকে সরকার যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আমাদের হয়তো দিনে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। সেই ঘাটতি মেটাতে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টার মতো লোডশেডিং করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এক সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখব। যদি এতেই আমাদের সাফিসিয়েন্ট মনে হয়, তাহলে তো সমস্যা নেই। নইলে আরও এক ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করা হতে পারে। এর পাশাপাশি আমাদের সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।” এর আগে সকালে রাজধানীর তেজগাঁয়ে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী। এ সময়ে তিনি বলেন, “জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশ লোডশেডিং শুরু হবে। যেসব এলাকায় লোডশেডিং থাকবে তা আগে থেকেই গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।”