তিনি বলেন, মূল্য সমন্বয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে এখনও কিছু নির্ধারিত হয়নি। বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) আয়োজিত এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সম্প্রতি প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ার পর বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিমন্ত্রীর এই ইঙ্গিতে জ্বালানি তেলের দামও বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নসরুল হামিদ বলেছেন, যেভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বাড়ছে সেটা খুব অস্বাভাবিক। আমাদের চিন্তা করতে হবে এই অবস্থা কতদিন চলবে। বিপিসি প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে। দাম পরিবর্তন করব কি না, কোথায় সমন্বয় করব বা আদৌ করব কি না এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি। এরপর সরকারের কাছে প্রস্তাব করব। তিনি বলেন, লোকসানের দায় কে নেবে? আমাদের গ্রাহকরা আছেন, যারা জ্বালানি পরিবহন করেন তাদের ওপর কোনো চাপ পড়ুক তাও আমরা চাই না। আমরা চাই সমন্বয় করতে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিপিসি প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে। আমরা আসলে কত এই লোকসান করব ? তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট করে। বাড়লে বাড়ায়, কমলে কমায়। আমরা এই মুহূর্তে সেদিকে যাব কি না সেটা চিন্তার বিষয়। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ভারতের সঙ্গে এখন আমাদের তেলের দামের অর্ধেক পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে। সে তুলনায় এখনও আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় আছি। আমরা কতটা বাড়াব সে জায়গাটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। যাত্রীদের ওপর কী ইফেক্ট হবে, পরিবহনে কী ইফেক্ট পড়বে সব আমাদের ভাবতে হচ্ছে। জ্বালানি বিভাগ জানায়, এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম অনেক কম। জুনে আমাদের ডিজেলের লিটার প্রতি দাম যেখানে ৮০ টাকা, সেখানে ভারতে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। একইভাবে পাকিস্তানে ৯৪ টাকা, নেপালে ১১৩ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ১০১ টাকা। এছাড়া সবচেয়ে বেশি এখন হংকংয়ে। দেশটিতে ২০৫ দশমিক ৫২ টাকায় ডিজেল বিক্রি হচ্ছে (ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ৯২ টাকা ধরে এ হিসাব করা হয়)।