বছরের প্রায় ৬০ ভাগ কাঁচা চামড়ার জোগান আসে কোরবানির ঈদে। চামড়া সংগ্রহের সবচেয়ে বড় মৌসুম এটি। সারাদেশে সংগ্রহ হওয়া কোরবানির পশুর চামড়ার বড় অংশই আসে রাজধানীর পোস্তগোলায়। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শেষ করেছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, “আমাদের সামগ্রিক প্রিপারেশন শেষ, চামড়ার ব্যবসা ট্র্যাডিশনাল ব্যবসা, যে যেভাবে করে এসেছে সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।” তবে টেনারি মালিকদের কাছে আগের বকেয়া প্রায় ১১০ কোটি টাকা আদায় হয়নি বলে জানালেন গোস্তগোলার ব্যবসায়ীরা। তবুও চামড়া, লবন-সহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কেনার অর্থের সংকট হবে না বলছেন তারা। টিপু সুলতান বলেন, “প্রচণ্ড গরম, চামড়াকে টেকানো কিন্তু মুশকিল, যত্র ম্যাপাওয়ারই ব্যবহার করিনা কেনো। দ্বিতীয়ত ফিন্যানসিয়াল ক্রাইসিসের সাফারিং। সব আড়তদার ভাইয়েরা আশা করে আছেন পাঁচ হাজার, টাকা পেলেন দুই হাজার, এটা কিন্তু নেগেটিভ সাইড।” এদিকে, বকেয়া থাকার তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি টেনারি মালিকদের। বাংলাদেশ টেনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেন, “অনেক ট্যানারি মালিক মারা গেছেন যারা হিসাবটা দিতে পারেন নি। ঈদ আসলেই এটার প্রচার করে কিছু ব্যবসায়ী হয়তো চিন্তা করেন যে কাঁচা চামড়া কম দামে কিনতে পারবেন।” চামড়া প্রক্রিয়াকরণে এবার ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন টেনারি খাতের উদ্যোক্তারা। প্রতিশ্র“তি মিলেছে অন্তত ৪শ’ কোটি টাকার। শাহিন আহমেদ বলেন, “প্রস্তুতি খুব ভালো আছে, আগের বছরের মত কাঁচা চামড়া নিয়ে অরাজক অবস্থা সৃষ্টি হবেনা।” সাভারের চামড়া শিল্পনগরী এখনো পরিবেশবান্ধব হয়নি। চামড়া বর্জ্যরে দূষণে আশাপাশের পরিবেশ বিপর্যস্ত। টেনারিগুলো পরিবেশবান্ধব না হওয়ায় চামড়ার রপ্তানি-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন কোরবানী দাতারা।