মনির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা- বাহ্মনবাড়িয়া দুই জেলার মুরাদনগর টু নবীনগর উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ থেকে নবীনগর রোডের মুরাদনগর অংশের ৮ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে ৭টি বেইলি স্টিল ব্রিজ। প্রতিটি ব্রিজই রয়েছে উচ্চ ঝুঁকিতে। ব্রিজগুলোর মধ্যে প্রায় সারা বছরই ঘটে দুর্ঘটনা,প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয় গাড়ী। ব্রীজগুলো হলো কবিতীর্থ দৌলতপুর নজরুল গেইট-১ টি সীমানারপাড়-১ টি মুকলিশপুর-১ টি কোড়েরপাড়-১ টি মেটংঘর-১,ও পীর কাশিমপুর গ্রামে ২টি।
সরেজমিন গিয়ে সড়কের যাত্রী ও ড্রাইভারদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ব্রিজগুলো অনেক দিন যাবত জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে। বৃষ্টি হলে হয়ে উঠে খুবই ভংকর। ট্রাক্টর সিএনজি চালিত অটোরিকশা পড়ে গিয়ে অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ । মাঝে মধ্যে বড় বড় ট্রাক যাওয়ার সময় পাটাতন ডেভে গিয়ে কাত হয়ে উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে সড়ক ও জনপদের লোকজন এসে পাটাতনগুলো জোড়াতালি দিয়ে ঠিক করে দিয়ে যায়। এতে সাময়িক সমাধান ঠিক হলেও পরবর্তীতে আবার গাড়ীর চাকার প্রেসারে এগুলো সরে যায়। পুরানো এই ব্রিজগুলো ভেঙ্গে নতুন করে পাকা ব্রিজ করার দাবি জানান তারা।
এরই মধ্যে গত শুক্রবার (১৩ মে) কড়ইবাড়ি ব্রিজ ভেঙে বালুবাহী ট্রাক ও অটোরিকশা খাদে পড়ে যায়। এসময় উভয় গাড়ীর মোট ৬ জন আহত হয়। চারজনের অবস্থা আশংকাজনক।
হায়দ্রাবাদ হাজী ইয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদুজ্জামান বাবু স্থানীয় বাসিন্দা এডঃ ইলিয়াস বলেন, তিনি এই সড়কে চলাচল করেন। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন ৮ কিলোমিটার রাস্তা বেশী ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। বাকী ব্রিজগুলোও রয়েছে বেশ ঝুঁকিতে ।
৬নং বাঙ্গরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, এই সড়কের বেইলি ব্রিজগুলো ঝুঁকিতে আছে। বিশেষ করে বাঙ্গরা ইউনিয়নের মকলিশপুর ব্রিজটি যেকোন মুহর্তে ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সড়ক কতৃপক্ষ যদি ব্রিজগুলো নতুন করে করে দেন তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা থেকে মানুষ বেঁচে যাবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগে কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিত চাকমা বলেন কোম্পনীগঞ্জ নবীনগর রুটের বেইলি ব্রিজগুলোর স্থানে পাকা ব্রিজ নিমার্ণের জন্য আমরা আগামী মাসে প্রস্তাবনা জমা দেবো। পর্যায়ক্রমে বেইলি ব্রিজগুলো সরিয়ে ফেলা হবে। তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত ওজন নিয়ে পরিবহনগুলো পারাপার হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। এবিষয়ে সবার সচেতনতা ও সহযোগীতা প্রয়োজন।