জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্কভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘এনআইডি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে উপায় নির্ধারণ’ শীর্ষক কর্মশার উদ্বোধনে সিইসি এসব কথা বলেন। এনআইডি সংশোধনকে ঘিরে নাগরিকদের দুর্ভোগ হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এমন বাস্তবতায় সমস্যা নিরসনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এতে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বৈত ভোটার সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং ম্যাচ ফাউন্ড এর ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ; দ্বৈত নাগরিকদের এনআইডি পাওয়ার ক্ষেত্রে সুপারিশ প্রণয়ন; মৃত ভোটার সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্ধারণ; এবং স্মার্ট কার্ড পেতে নট ফাউন্ড ভোটারদের স্মার্টকার্ড দেয়ার সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।
নবনিযুক্ত পাঁচ সদস্যের ইসি দায়িত্ব নেয়ার এক মাস পরে এনআইডি সংক্রান্ত এ কর্মশালা হচ্ছে। এতে আঞ্চলিক/জেলা/উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস, জাতীয় পরিচয়ন নিবন্ধন অনুবিভাগ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।
সিইসি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তবে কেউ চাইলেই তা সংশোধন করে দেয়া যাবে না। ভালো করে সব তথ্য যাচাই বাছাই করতে হবে। কর্মকর্তারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ না করলে তার দায় কমিশনের উপর পড়বে বলেও মন্তব্য করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে করে সেবা দেয়া যায় সে নির্দেশও দেন সিইসি।
তিনি বলেন, পরিচয়পত্র দৈনন্দিন কার্যক্রম সহজ করে দিয়েছে। তবে ভুল সংশোধন নিয়ে অনেকেই আসছেন। এ ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো আইডেন্টিফাই করতে হবে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখেরও বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত রয়েছেন। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর নাগরিকদের এনআইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উন্নতমানের স্মার্ট কার্ড দেয়াও চলমান রয়েছে।