আগামীকাল শুরু উজ্জীবিত বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ। প্রায় ৫ বছর পর এই ফরম্যাটে মুখোমুখি হবে দু’দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জেতায় বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে দল। তবে নির্ভার থাকছেন না মুশফিক-মুমিনুলরা। ফরম্যাট আলাদা হওয়ায় বেশ সতর্ক রাসেল ডমিঙ্গো শিষ্যরা। আর স্বাগতিকদের প্রতিশোধের সিরিজ। ডারবানের কিংসমিডে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়।
তবে শেষ পর্যন্ত কি হবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে টেস্টের ফলাফল না আসা পর্যন্ত। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান কেমন ছিল তা একটু জানা যাক। টেস্ট ক্রিকেটে বরাবরই খাবি খায় বাংলাদেশ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সে ধারা থেকে বের হয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে টিম টাইগার্স। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই জয় যার প্রমাণ। এবার টাইগারদের লক্ষ্য প্রোটিয়াদের হারানো। এর আগে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে কোনো টেস্ট না জেতা বাংলাদেশ কি পারবে প্রোটিয়াদের হারাতে? পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে উত্তর একটাই ‘না’। কিন্তু পরিসংখ্যানের পাতায় পরিবর্তন আনা মুহূর্তের ব্যাপার। আসুন দেখে নেই লাল বলের খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান কী বলে। লাল বলের খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশ ১২ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে ১০ বার জয় দক্ষিণ আফ্রিকার যার আটটি ইনিংস ব্যবধানে। আর দুইবার ড্র যেখানে অবদান বৃষ্টির।
সবশেষ ২০১৭ সালে প্রোটিয়াদের মাটিতেই তাদের মোকাবিলা করে বাংলাদেশ। সেবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বেশ বড় ব্যবধানেই টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়। কিন্তু এর আগের দুই ম্যাচে নিজেদের ঘরে ড্র করে টাইগাররা। বৃষ্টির বাগড়ায় সে দু’ম্যাচ ড্র হয়। আর এটাই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। প্রোটিয়া-বাংলাদেশ দ্বৈরথে বেশি রান সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের। তিনি ৮ ম্যাচে ৮২ দশমিক ৫৫ গড়ে করেছিলেন ৭৪৩ রান। আর বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের। তিনি ৮ ম্যাচে ২৩ দশমিক ৬৪ গড়ে করেছেন ৩৩১ রান। স্মিথ না থাকলেও এখনো খেলে যাচ্ছেন মুশফিক। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৭৭ রান। যেটা করেছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক। অপরদিকে টাইগারদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান গ্রায়েম স্মিথের। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২৩২ রান। এখানেও স্মিথ নেই, কিন্তু মুমিনুল বিদ্যমান।দু’দেশের দ্বৈরথে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাবেক প্রোটিয়া পেসার মাখায় এনটিনির। ৮ টেস্টে তার শিকার ৩৫ উইকেট। অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষে বেশি উইকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ৬ টেস্টে তার শিকার মাত্র ১৩ উইকেট।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেরা বোলিংয়ে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২৭ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব। আর দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সেরা বোলিং ফিগার মাখায়া এনটিনির। তিনি ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।